Digital-Projukti-Class-Seven-Text-Book

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমাদেরকে জানাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা। নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে তোমাদের শিক্ষাজীবন শুরু হতে যাচ্ছে। এই শিক্ষাক্রমের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে কাজ করা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষাকে আরো বেশি আনন্দঘন ও ফলপ্রসু করা। এখন তোমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে তোমাদের বেড়ে উঠার এবং নিজেকে আরো বিকশিত করার সামাজিক কেন্দ্র। তোমরা এখন শুধু এই বই থেকে শিখবে না, বরং এই বই থেকে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা নিয়ে তোমাদের আশেপাশের পরিবেশ, মানুষ এবং প্রযুক্তি থেকেও শিখবে।

প্রযুক্তির উন্নয়ন আমাদের এমন একটি জায়গায় এনে দাাঁড় করিয়েছে যে, প্রতিদিনই নতুন নতুন জ্ঞান যুক্ত হচ্ছে। আমাদের প্রতিদিনের জীবনও পরিবর্তন হচ্ছে খুব দ্রুত। তাই আজ যেটি আমরা মুখস্থ করলাম তা আর কয়েকবছর পর কাজে নাও লাগতে পারে। সুতরাং আমাদের শেখার প্রক্রিয়াও হতে হবে আধুনিক। কোনো কিছু দেখে মুখস্থ করে নয় বরং আশেপাশের পরিবেশকে আরও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে হাতের কাছে যে সব উপকরণ আছে তাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধ হতে হবে। 

আর এই বই তারই সুযোগ করে দিয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি এখন আর কম্পিউটার চালানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, আমাদের জীবনের সাথে সম্পর্কিত সকল ধরনের সমস্যার প্রযুক্তিগত সমাধান ডিজিটাল প্রযুক্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত । আমরা শুধু প্রযুক্তি ব্যবহার করা শিখব তা কিন্তু নয়। প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা সমস্যার সমাধান করব ও সাথে সাথে সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন প্রযুক্তিও আবিষ্কার করতে শিখব। 

এই বই আমাদের সে আবিষ্কারক হওয়ার পথে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। বইয়ে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে, হাতের কাছে যদি কোন প্রযুক্তি নাও থাকে তারপরও তোমরা কীভাবে সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তিগত সুবিধা কাজে লাগাতে পারো তা হাতে-কলমে শিখতে পারবে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো, তোমরা এখন নিজের বন্ধুদের সাথে বা পাশের বিদ্যালয়ের বন্ধুদের সাথে প্রতিযোগিতা করবে না। প্রতিযোগিতা যদি করতে হয় বৈশ্বিক নাগরিকদের সাথে তোমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে। তোমরা সহযোগিতার মাধ্যমে সবাই একসাথে বিশ্বনাগরিক হয়ে বড় হবে। তোমাদের জন্য রইল  শুভকামনা!

ডিজিটাল প্রযুক্তি পাঠ্য বইটি পিডিএফ ভার্সন দেখতে ও ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন। (Digital Projukti Class 7)

সেশন-১ (উপযুক্ত প্রশ্নে যথার্থ সমাধান) পাঠ্য বই পৃষ্ঠা-১

আমরা ছোট-বড় সবাই কোনো না কোনো ঝামেলা বা সমস্যায় পড়ি। ছোটদের সমস্যা অধিকাংশ বড়রা সমাধান করে থাকে। কেমন হবে যদি আমরা ছোটরাও বড়দের সমস্যাগুলোর সমাধান করার চেষ্টা করি? যেকোনো সমস্যার সমাধান করার আগে আমাদের প্রথমে ভাবতে হবে সমস্যার কারণ কী ছিল। প্রয়োজনীয় প্রশ্নের মাধ্যমে আমরা সহজেই যেকোনো সমস্যার কারণ নির্ণয় করতে পারি।

 ডিজিটাল-প্রযুক্তি-৭ম-শ্রেণি-শিখন-অভিজ্ঞতা-১

সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশ্ন করা প্রয়োজন সঠিক প্রশ্ন করার অত্যন্ত সহজ উপায় হচ্চে ৬ক মেনে প্রশ্ন করা। তা নিচে উপস্থাপন করা হলো-

 ডিজিটাল-প্রযুক্তি-৭ম-শ্রেণি-শিখন-অভিজ্ঞতা-১

এই ৬টি ‘ক’ মাথায় রেখে যদি আমরা তথ্য অনুসন্ধান করি কিংবা কোনো তথ্য উপস্থাপন করার সময় যদি আমরা এই ৬টি ‘ক’ বিবেচনা করি তাহলে আমরা সম্পূর্ণ তথ্য খুঁজে পাব বা পূর্ণাঙ্গ তথ্য উপস্থাপন করতে পারব।

লক্ষ্যদল কী ?

কোনো নির্দিষ্ট দর্শক বা শ্রোতাকে উদ্দেশ্য করে কোনো মাধ্যমে প্রচারিত লেখা, ছবি, ভিডিও ইত্যাদিকে কনটেন্ট বলে। ঐ নির্দিষ্ট দর্শক বা শ্রোতাকে বলে লক্ষ্যদল।

কোনো ব্যবসায়িক বা অব্যবসায়িক কোনো তথ্য প্রচারের জন্য প্রথমে লক্ষ্যদল ঠিক করে নিলে আশানারূপ ফল পাওয়া যায়।

লক্ষ্যদলগুলো হতে পারে- ১। বাবা মা ২। দাদা-দাদী, নানা-নানী ৩। বন্ধু ৪। আশেপাশের কোন শিশু কিশোর যারা পড়াশোোনা করতে পারে না। ৫। আশপাশের কোন পেশাজীবী, যেমন- গাড়ি চালক, মুদি দোকানী, দারোয়ান, ট্রাফিক পুলিশ ৬। বিদ্যালয়ের কর্মচারী ৭। শিক্ষক ৮। ছোট ভাই-বোন ৯। বড় ভাই-বোন ১০। বিদ্যালয়ের অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থী।

লক্ষ্যদল ঠিক করে তাদের ছোট ছোট  সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে।

এক্ষেত্রে তোমরা যেন বড় বড় সমস্যা খুঁজে বের না করে খুব ছোট ব্যক্তিগত সমস্যা খুঁজে বের করবে। সমস্যা হতে পারে ‘বাবা মা বুঝতে পারে না ইন্টারনেটের কোন তথ্য সঠিক’ ‘মুদি দোকানি তার দোকানের জিনিসপত্রের হিসেব রাখতে পারেন না’ ‘ছোট ভাই বোন অংক/নামতা/ শতকরা বুঝতে পারে না’ ‘বড় ভাই-বোনের বিদ্যালয়ে আসতে ইচ্ছা করে না’, ‘বিদ্যালয়ের অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মোবাইল গেইমের আসক্তি থেকে বের হতে পারছে না’ বা ‘গল্প বই পড়ার প্রতি মনোযোগ বসছে না ইত্যাদি। 

এসমস্ত সমস্যা সমাধানের জন্য প্রথমে প্রয়োজনী প্রশ্ন করে সমস্যার কারণ সনাক্ত করে তা আমাদের সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *