শিখন অভিজ্ঞতা-১ এর তথ্য যাচাই অভিযান শেষ হয়েছে, ইতোমধ্যে যারা আমাদের কাছে তথ্য জানতে চেয়েছে তাদের কাছে নিশ্চয়ই যাচাইকৃত সিদ্ধান্ত পৌঁছে দিয়েছি। কিন্তু এখানেই আমাদের কাজ শেষ নয়। কারণ তথ্য যাচাই এর প্রয়োজনীয়তা আমাদের সব সময় থাকে। শুধুমাত্র ডিজিটাল প্রযুক্তি নয়, অন্যান্য বিষয়ের কাজ করতে গেলেও আমাদের তথ্য অনুসন্ধান ও যাচাই এর প্রয়োজন হবে। এই অভিজ্ঞতার মাধ্যমে কীভাবে তথ্য ভুলভাবে প্রচার হওয়ার আশংকা থাকে তা আমরা অনুসন্ধান করতে পেরেছি । এখন আমরা কীভাবে তথ্য ভুলভাবে প্রচার হয় তার ১০ টি প্রক্রিয়া লিখব। এটি আমাদের নিজের ভাবনা এবং অভিজ্ঞতা থেকে লিখব-
কীভাবে তথ্য ভুলভাবে প্রচার হয় তার ১০ টি প্রক্রিয়া –
১। অনিচ্ছাকৃত ভুলের কারণে কোনো তথ্য ভুলভাবে প্রচার হতে পারে।
২। ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তি বা মহলের ক্ষতি সাধনের জন্য ভুল তথ্য প্রচার হতে পারে।
৩। কোনো খ্যাতনামা প্রত্রিকার লোগো যুক্ত করে ভুল তথ্য প্রচার হতে পারে।
৪। কোনো অশালীন ছবির সাথে কোনো মানুষের মুখের ছবি বসিয়ে মানহানির জন্য প্রচার করা হতে পারে।
৫। অপরাধীর নামের সাথে মিল থাকলে কোনো ভালো মানুষের বিরুদ্ধে খুৎসা রটাতে পারে।
৬। চাঁদা বা অর্থ আদায়ে ব্যর্থ হলে কোনো ব্যক্তির ক্ষতি সাধনের জন্য ভুল তথ্য প্রচার করতে পারে।
৭। ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে কোনো সঠিক ভিডিও ভুলভাবে প্রচার করতে পারে।
৮। সোস্যাল মিডিয়াতে কোনো ব্যক্তির নামে গুজব ছড়াতে পারে।
৯। পূর্বের কোনো ঘটনার ছবি বর্তমানের বলে তথ্য দিয়ে প্রচার করতে পারে।
১০। রাজনৈতিকভাবে হয়রানির জন্য মিথ্যা তথ্য ছড়াতে পারে।
১০টি উপায় লেখা হয়ে গেলে আমার পাশের বন্ধুকে আমার বইটি পড়তে দিব এবং তার বইটি আমি নিয়ে সে কি লিখেছে পড়ব। এই পুরো অভিজ্ঞতায় আমি কি নতুন জেনেছি যা আমার ভালো লেগেছে তা জানিয়ে আমার অভিভাবক বরাবর একটি চিঠি লিখব। চিঠিটি বাড়িতে গিয়েই লিখব। লিখা শেষ হলে আমার অভিভাবককে পড়ে শোনাবো।
অভিভাবক বরাবর চিঠি লিখি-
প্রিয় মা,
পত্রের শুরুতে আমার সালাম নিও। আমি আমার অষ্টম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বইয়ের প্রথম শিখন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন করেছি। এই শিখন অভিজ্ঞতায় আমি বেশকিছু নতুন নতুন তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান লাভ করেছি। সে সম্পর্কে এখন আমি তোমাকে জানাচ্ছি।
প্রথমত, দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন উৎস থেকে বিভিন্ন তথ্য পেয়ে থাকি। যেমন- নিউজ, বিভিন্ন ছবি, অডিও- ভিডিও ক্লিপ ইত্যাদি। কিন্তু এসব তথ্য সবগুলো সঠিক তা কিন্তু নয় । সুতরাং কোনো তথ্য বিশ্বাস করার পূর্বে আমরা অবশ্যই তা বিশ্বাসযোগ্য কোনো উৎস থেকে যাচাই করে নেব । আমরা কোনো ভিডিও দেখেই সাথে সাথে তা বিশ্বাস করব না। কারণ, ভিডিওটি অসৎ উদ্দেশ্যে বা অপপ্রচার করার জন্য এডিটিং করা হতে পারে। এক্ষেত্রে আমরা কোনো ভিডিও দেখে বিভ্রান্ত না হয়ে বরং ভিডিওর মধ্যে কী কী অসংগতি রয়েছে, সেগুলো খোঁজার চেষ্টা করব। ইন্টারনেটে InVid অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার ব্যবহার করে কোনো ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে নিতে পারি। প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা নকল ছবিরও সত্যতা যাচাই করতে পারি। এক্ষেত্রে আমরা গুগল ইমেজ সার্চ অপশনের সহায়তা নিতে পারি।
কোনো তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ালে আমরা সেটা প্রযুক্তির মাধ্যমেই সমাধান করতে পারি । যেমন আমরা গুগল ফর্ম ব্যবহার করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তার সত্যতা যাচাই করে দিতে পারি।
আমি এই শিখন অভিজ্ঞতায় আরো জেনেছি, কীভাবে স্প্রেডশিট ব্যবহার করে খুব সহজেই দ্রুত হিসাব- নিকাশ করা যায় । স্প্রেডশিট হচ্ছে এমন একটি প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে আমরা খুবই অল্প সময়ের মধ্যে হাজার হাজার হিসাব-নিকাশ করে নিতে পারি।
আমি আশা করছি, প্রথম শিখন অভিজ্ঞতায় শেখা কাজগুলো আমার ভবিষ্যত জীবনে অনেক উপকারে আসবে। তুমি আমার জন্য দোয়া করো, আমি যাতে এই অভিজ্ঞতাগুলো সঠিকভাবে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারি।
ইতি,
তোমার আদরের ছেলে/মেয়ে
খোরশেদ/ নাঈমা