৮ম শ্রেণি- ডিজিটাল প্রযুক্তি- শিখন অভিজ্ঞতা-২ সেশন-১ (তথ্য ঝুঁকি ও সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে আমি কতটুকু জানি)-এ সেশনে আমরা আজকে আলোচনা করব- ফিশিংয়ের চেষ্টা থেকে নিরাপদ থাকার উপায়।
সাইবার জগতে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অনুমতি ছাড়া মানুষের ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য সংগ্রহ করার জন্য সাইবার দুর্বৃত্তরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালাচ্ছে। কৌশল হিসেবে সাইবার দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন উপায়ও ব্যবহার করছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে ‘ফিশিং (Phishing)’। ফিশিং এক ধরনের সাইবার অপরাধ।
ফিশিং কী ?
ইংরেজি বানান ভিন্ন হলেও একটি মূলত বড়শির ফাঁদ ফেলে মাছ ধরার মতো মানুষের গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল। আমাদের পরিচিত বিশ্বাসযোগ্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পরিচয়ে যোগাযোগ করে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ, গোপনীয় তথ্য বা আর্থিক সম্পদ হাতিয়ে নেওয়াকে ফিশিং বলে। যেমন- কোনো খ্যাতনামা কোম্পানির লোগো, নাম, ইমেইল ঠিকানা, ফোন নম্বরের মতো দেখতে কিছুটা পরিবর্তন করে লোগো, নাম, ইমেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর ব্যবহার করে বার্তা পাঠিয়ে গোপন ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করা হয়।
নিচের ছবিতে দেখানো হলো মুঠোফোনে ম্যাসেজের মাধ্যমে প্রতারণা করার বার্তা-
ফিশিংয়ের চেষ্টা থেকে নিরাপদ থাকার উপায়
অপরিচিত নম্বর বা ইমেইল থেকে আসা ফিশিংয়ের চেষ্টা থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে আমরা নিচের মাইন্ড ম্যাপটি অনুসরণ করব- (পাঠ্য বইয়ের ৩১ পৃষ্ঠার অনুশীলনমূলক কাজ)
১। সন্দেহজনক কোনো লিংকে আমরা প্রবেশ করব না।
২। অপরিচিত নম্বর থেকে ম্যাসেজ আসলে প্রথমে তা যাচাই করব।
৩। সন্দেহজনক ইমেইল আসলে তা স্প্যাম করে রাখব।
৪। সন্দেহজনক ইমেইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে যাচাই করব।
৫। অর্থের লোভে পরে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহ করব না।
৬।সন্দেহজনক তথ্য যাচাইয়ে অভিজ্ঞদের সহায়তা নেব।