৯ম শ্রেণি- ডিজিটাল প্রযুক্তি- শিখন অভিজ্ঞতা-১ সেশন- ৯ (বুলেটিন উদ্বোধন )

৯ম শ্রেণি- ডিজিটাল প্রযুক্তি- শিখন অভিজ্ঞতা-১ সেশন- ৮- এ সেশনে আমরা Google Site এ তৈরি করা বিদ্যালয় বুলেটিন উদ্বোধন করব।

নবম শ্রেণির ক্লাসের শুরু থেকে একটু একটু কাজ করে যে বুলেটিন তৈরি করেছি সেটি আমরা উদ্বোধন করব। তার জন্য আমরা আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য সিনিয়র শিক্ষকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। অতিথিদের উপস্থিতিতে আমরা বুলেটিনটি প্রকাশ করব।

আমরা এ বুলেটিন তৈরির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যালয়ের জন্য পরবর্তীতে একটি ওয়েবসাইটও তৈরি করব। যে ওয়েবসাইটের মধ্যে আমাদের তৈরি করা বুলেটিনটির লিংক করে দেব। আমাদের বাস্তব জীবনেও আমরা চাইলে ডোমেইন হোস্টিং ব্যবহার করে এ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একটি ওয়েবসাইট বানাতে পারব।

আজকে বাড়ি ফিরে আমরা আমাদের তৈরি করা বুলেটিনটি আমাদের অভিভাবদের দেখতে দেব। তাদেরকে আমাদের তৈরি করা সাইটের লিং দিলে তারা যেকোনো স্থান থেকে নেট ব্যবহার করে দেখতে পারবে এবং মতামত দিতে পারবে।

বিদ্যালয় বুলেটিন সম্পর্কে অভিভাবকের মতামত (লিখে অথবা তারকা চিহ্ন দিয়ে)

(পাঠ্য বইয়ের পৃষ্ঠা-২৬)

শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে একটি বিদ্যালয় বুলেটিন তৈরি করতে পেরেছে জেনে আমি খুবই আনন্দিত।  এখন থেকে সারা বছর জুড়ে যেসকল কাজ দলগতভাবে সম্পন্ন করবে তারা তা বুলেটিনে আপলোড দিতে পারবে এবং আমাদের দেখারও সুযোগ হবে। বুলেটিন তৈরির অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনেও কাজে লাগাতে পারবে। তাদের অর্জিত দক্ষতা ও সক্ষমতার পোর্টফোলিও বুলেটিনের মতো ওয়েবসাইটে যুক্ত করে নিজেদের পরিচিতি সমগ্র বিশ্বের মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারবে। 

৯ম শ্রেণি- ডিজিটাল প্রযুক্তি- শিখন অভিজ্ঞতা-১ সেশন- ৯ , বুলেটিন উদ্বোধন,

আত্মমূল্যায়ন: এখন আমরা আত্মমূল্যায়নের জন্য নিচে দেওয়া তিনটি ঘরে মতামত লিখব।

(পাঠ্য বইয়ের ২৬ পৃষ্ঠার কাজ)

এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আমি নতুন যা শিখলাম।

আমাদের পাঠ্য বইয়ের শিখন অভিজ্ঞতা-১ এর মধ্য দিয়ে আমি নতুন অনেক কিছু  শিখেছি। যেমন- কীভাবে ভুল তথ্য প্রচারিত হয় সে বিষয়টি, ভূল তথ্যের কীভাবে সত্যতা যাচাই করতে হয়, কীভাবে গুগল ডকসে ভয়েস কমান্ড ব্যবহার করে কোনো লেখা স্বয়ংক্রিয়ভাবে লেখা যায়, কীভাবে তথ্যের নিরপেক্ষতা যাচাই করা যায়, কীভাবে বিষয়বস্তু ঠিক রেখে নিবন্ধ লেখা যায়, কীভাবে স্পেডশীট ব্যবহার করে কোনো ডেটা ইনপুট, হিসাব-নিকাশ, উপস্থাপন ও এনালাইসিস করা যায়, কীভাবে গুগল সাইট ব্যবহার করে কোনো আর্টিকেল পাবলিশ করা যায় এবং তার লিং অন্যদের মাঝে সরবরাহ করা যায় সে বিষয়। এ শিখন অভিজ্ঞতাটি সত্যই অনেক বেশি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে যা আমাদের পেশাগত জীবনে কাজে আসবে।

নতুন শেখা আমার জীবনে যে যে ক্ষেত্রে কাজে লাগবে বলে মনে করি-

১। সঠিক তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে কাজে লাগবে।

২। গুগল ডকসে ভয়েস কমান্ড ব্যবহার করে পরিবারের বা পেশাগত জীবনের কোনো তথ্য আমি লিখতে পারব।

৩। কোন তথ্য সঠিক বা নিরপেক্ষ কিনা তা নিজে যাচাই করতে পারব।

৪। বিষয়বস্তু ঠিক রেখে যেকোনো পোস্ট বা আর্টিকেল লিখতে পারব।

৫। স্পেডশীট ব্যবহার করে হিসাব-নিকাশ  করা ও উপস্থাপন করতে পারব।

৬। নিজের দক্ষতা বিষয়ক পোর্টফোলিও তৈরি করে পেশাগত জীবনে উপস্থাপন করতে পারব।

তথ্য যাচাই ও উপস্থাপনে আর কী কী নতুন কৌশল আমি জানতে চাই-

১। তথ্যকে কীভাবে নিরাপদ রাখা ও সঠিক ব্যবহার করা যাবে তা আমি জানতে চাই।

২। তথ্যকে কীভাবে ইউনিক করা যাবে সে বিষয়টি।

৩। কীভাবে একটি ডোমেইন ও হোস্টিং সংগ্রহ করে ওয়েবসাইট তৈরি করে নিজের পোর্টফোলিও সংযুক্ত করে উপস্থাপন করা যাবে সে কৌশল বা উপায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *