৯ম শ্রেণি-ডিজিটাল প্রযুক্তি- শিখন অভিজ্ঞতা-২ সেশন- ১ (ডিজিটাল মাধ্যমে তথ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি ও সংঘটিত অপরাধ)

৯ম শ্রেণি-ডিজিটাল প্রযুক্তি- শিখন অভিজ্ঞতা-২ সেশন-১ -এ সেশনে আমরা আলোচনা করব ডিজিটাল মাধ্যমে তথ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি ও সংঘটিত সাইবার অপরাধ।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এ যুগে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধার পাশাপাশি সাইবার অপরাধের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসকল সাইবার অপরাধের ধারণার পাশাপাশি আমরা এ সেশনে নিরাপত্তা কৌশল চর্চার বিষয়ও উপস্থাপন করব। প্রথমে আমরা আলোচনা করব সাইবার অপরাধ কী ?

সাইবার অপরাধ কী ?

সমাজ ও আইন বিরোধী যেকোনো কাজই অপরাধ। ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে অনলাইনে যেসকল অপরাধ সংঘটিত হয় তাকে সাইবার অপরাধ বলে।

সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন উপায়ে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে আমাদের জীবনকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তথ্য ঝুঁকির হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য আমাদের প্রযুক্তি ব্যবহারে অত্যধিক সতর্ক হতে হবে।

এবার আমরা একটি ঘটনা পর্যবেক্ষণ করি।

ডিজিটাল মাধ্যমে তথ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি ও সংঘটিত অপরাধ

উপরের ঘটনাতে আমরা দেখতে পেলাম যে, আবির তার ডিভাইসে সহজ পাসওয়ার্ড দেওয়াতে তার বন্ধু কয়েকবার অনুমান করে পাসওয়ার্ড দেওয়াতে ডিভাইসটিতে প্রবেশ করার সুযোগ হয়ে যায়। আবিরের বন্ধুর কাজটি ব্রুট ফোর্স অ্যাটাকের সাথে মিলে যায়। এখন আমরা আলোচনা করব-ব্রুট ফোর্স অ্যাটাক কী সেবিষয়টি।

ব্রুট ফোর্স অ্যাটাক কী?

যখন সাইবার অপরাধীরা অনলাইনে মানুষের বিভিন্ন সাইটের একাউন্টে সফটওয়্যার ব্যবহার করে এবং অনুমান করে একের পর এক ইউজার নাম ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে প্রবেশ করার চেষ্টা করে তাকে বলা হয় ব্রুট ফোর্স অ্যাটাক (Brute Force Attack)

এবার আমরা নন-ডিজিটাল মাধ্যম এবং ডিজিটাল মাধ্যমে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি হতে পারে এমন একটি তালিকা তৈরি করব। (পাঠ্য বইয়ের ২৯ পৃষ্ঠার কাজ)

৯ম শ্রেণি-ডিজিটাল প্রযুক্তি- শিখন অভিজ্ঞতা-২ সেশন- ১ (ডিজিটাল মাধ্যমে তথ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি ও সংঘটিত অপরাধ)

ডেটা ইন্টারসেপশন কী?

ডিজিটাল মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানে মধ্যবর্তী কেউ আড়ি পেতে তথ্য চুরি করার প্রক্রিয়াকে ডেটা ইন্টারসেপশ বলে। সাধারণত সফটওয়্যার বা অ্যাপস-এ এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন করা থাকলে, মধ্যবর্তী আর কেউ তথ্য আদান-প্রদানে ডেটা চুরি করতে পারে না।

ডিডস অ্যাটাক (DDos Attack) কী ?

ডিজিটাল জগতে একাধিক ডিভাইস ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট টার্গেটে অ্যাটাক করে তাকে ডিডস অ্যাটাক (DDos Attack) বা Distributed Denial of Service Attack বলে।

হ্যাকিং (Hacking) কী ? 

ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তির কম্পিউটার সিস্টেম, ওয়েবসাইট, একাউন্টের সম্পূর্ণ বা আংশিক নিয়ন্ত্রণ নেয় তাকে হ্যাকিং বলে। এধরনের হ্যাকিং ভালো-মন্দ উভয় উদ্দেশ্যে হতে পারে।

ম্যালওয়্যার(Malware) কী ?

ম্যালওয়্যার একটি ক্ষতিকর সফটওয়্যার যার মাধ্যমে অনুমতি ছাড়া কোনো ডিভাইসে প্রবেশ করে তথ্য নজরদারি বা চুরি করে, ডিভাইসের কার্যক্ষমতা হ্রাস করে কিংবা ডেটার ক্ষতিসাধন করে।

মাইন্ড ম্যাপ-সাইবার অপরাধের বৈশিষ্ট্যসমূহ

 (পাঠ্য বইয়ের ৩২ পৃষ্ঠার কাজ)

এখন আমরা সাইবার অপরাধের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের একটি মাইন্ড ম্যাপ ছক পূরণ করব।

মাইন্ড ম্যাপ-সাইবার অপরাধের বৈশিষ্ট্যসমূহ

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *