ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে অনলাইন জগতে অনেক ধরনের অপরাধ সংগঠিত হয়। তার মধ্যে অন্যতম অপরাধ হচ্ছে সাইবার বুলিং।
সাইবার বুলিং কী ?
ডিজিটাল যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে কারো ক্ষতি করা বা উত্ত্যক্ত করাই হচ্ছে সাইবার বুলিং। যেমন-প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাউকে হয়রানি করা, ভয়ভীতি প্রদর্শন করা, বিব্রত করা, কারো সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া, অবমাননাকর ছবি পোস্ট করা, ফেইক আইডি খুলে বিভ্রান্তমূলক পোস্ট করা, অসত্য কোনো তথ্য স্ট্যাটাস হিসেবে দেওয়া, অশোভন ম্যাসেজ দেওয়া, কাউকে হুমকি দেওয়া, অন্যের ছদ্মবেশ ধারণ করে তার পক্ষে আর একজনকে ম্যাসেজ দেওয়া ইত্যাদি সাইবার বুলিং এর অন্তর্ভুক্ত।
বাস্তব জীবনে আমরা নানাভাবে বুলিং-এর শিকার হয়ে থাকি। এবার আমরা আমাদের বাস্তব জীবনে ঘটা বুলিং এবং সাইবার জগতে ঘটা এমন ৫টি বুলিং-এর অভিজ্ঞতা লিখব। (পাঠ্য বইয়ের ৩৩ পৃষ্ঠার কাজ)
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অত্যধিক ব্যবহারের যুগে ফেইক নিউজের বিস্তার দিন দিন বেড়েই চলেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে মানুষ প্রতিদিন অগণিত খবর পড়ছে, যেগুলোর মধ্যে হয়তো বেশি কিছু মিথ্যা তথ্য বা সংবাদও থাকে। কেউ কেউ রাজনৈতিক বা ব্যবসায়িক সুবিধা নেওয়ার জন্য কিংবা কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যও ফেইক নিউজ ছড়িয়ে থাকে।
ফেইক নিউজ কী?
মিথ্যা তথ্য, ভুল ঘটনা কিংবা অতিরঞ্জিত তথ্যের মাধ্যমে কোনো সংবাদ প্রচার করাকে ফেইক নিউজ বলা হয়। ফেইক নিউজগুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে দুষ্কৃতকারীরা অসংখ্য ফেইক আইডিও ব্যবহার করে থাকে। দ্রুত কোনো মিথ্যা তথ্য বা ঘটনাকে ভাইরাল করার জন্য।
এবার আমরা আমাদের অভিজ্ঞতার আলোকে ডিজিটাল মাধ্যম থেকে জানা ৫টি ফেইক নিউজ লেখব এবং কেন ফেইক নিউজ তার কারণও আমরা উপস্থাপন করব। (পাঠ্য বইয়ের ৩৪ পৃষ্ঠার কাজ)
সাইবার বুলিং বা সাইবার অপরাধের শাস্তি
বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ অনুসারে সাইবার অপরাধ বা সাইবার বুলিং এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ফেইক নিউজ ছড়ালে তার শাস্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে অথবা সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কারাদণ্ড ও জরিমানা উভয়ই হতে পারে।