মরার উপর খাড়ার ঘা অবস্থা রাশিয়ার। ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে বিরোধিতার মুখেই যুক্তরাজ্যের রোশানলের কবলে রাশিয়া এবার। নিজ দেশে নাগরিকদের রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের বিদায়ী সেনাপ্রধান জেনারেল প্যাট্রিক স্যান্ডার্স (Patrick Sanders)। যদিও এর পরপরই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে মস্কো।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য আরো ভালোভাবে প্রস্তুত হতে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর চুয়াত্তর হাজার কর্মকর্তার মধ্যে অন্তত পঁয়তাল্লিশ হাজারকে মোতায়েন রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জেনারেল প্যাট্রিক স্যান্ডার্স (Patrick Sanders)। এছাড়া সেনাবাহিনীর আকার ছোট হওয়ায় নাগরিকদেরও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলেও জানান তিনি।
ব্রিটিশ সেনাপ্রধানের এই আহ্বানের পরপরই শক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ব্রিটেনে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত এন্ড্রে কেলিন (Andrey Kelin)। মস্কো এমন কোন কাজ করেনি যে কারণে ব্রিটিশ সেনাপ্রধান রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে দেশটি নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানাতে পারেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া এই আহ্বানকে সামরিক সংঘাতের পক্ষে এটি অস্বস্তিকর প্রচেষ্টা বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত এন্ড্রে কেলিন।
এ সময় রুশ রাষ্ট্রদূত আরও বলেন ব্রিটেনের উচিত রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সংঘাত অনিবার্য করে না তুলে তা এড়ানোর চেষ্টায় মনোযোগ দেয়া। উত্তেজনাকর রাজনৈতিক পরিবেশের মধ্যেই হঠাৎ করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ তৈরি করবে বলেও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। পাশাপাশি ব্রিটেনের তরুণ রাজনীতিবিদদের লেখাপড়া করার এবং ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ারও পরামর্শ দেন রাশিয়ার এ কূটনৈতিক।

তিনি সুস্পষ্ট করে বলেন কেউ রাশিয়াকে পরাজিত করতে পারেনি এবং পারবেও না। এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই যুক্তরাজ্যে পারমাণবিক বোমা মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। গেল পনেরো বছরের মধ্যে এই প্রথম এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে দেশটি। Royal Air Force Slang-তে B61-12 বোমা রাখার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমগুলো। গেল বছর ব্রিটেনের এই ঘাঁটিতেই পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম F35 যুদ্ধ বিমান পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ও সময় যুদ্ধ বিমান পাঠানোর পরপরই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে রাশিয়া।
সূত্র: আর টিভি নিউজ।